গরীব, অসহায় ও দুস্থ মানুষকে বিনা খরচে আইনী সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এ লক্ষে দেশের ৬৪ জেলায় ‘লিগ্যাল এইড’ প্রতিষ্ঠা করেছে। কক্সবাজারেও লিগ্যাল এইড এর সেবা চালু রয়েছে। জেলা শহর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারী এ আইনী সেবা পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক হতে হবে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করে আইনী জটিলতা নিরসন ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্টা সম্ভব।
২৯ জুন বুধবার বিকালে জেলা জজ এর সম্মেলন কক্ষে লিগ্যাল এইড এর কর্মশালায় কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
‘সরকারী আইনী সহায়তা কার্যক্রমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি প্রয়োগ: সাফল্য ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি আরো বলেন, ‘সমঝোতায় শান্তি মিলে মামলায় বাড়ে হিংসা, সমঝোতার জন্য চলো করি মিমাংসা’ শ্লোগানটি সর্বস্থরের মানুষের কানে পৌঁছাতে হবে। সরকারী সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে সব শ্রেনী পেশার মানুষকে সচেতন করতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে মানবতার সেবায় কাজ করতে হবে।
জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ওসমান গণির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সোবহান, যুগ্ম-জেলা জজ ছৈয়দ মো. ফাখরুল আবেদীন, সিনিয়র সহকারী জজ অসীম কুমার দে, সহকারী জজ কনক বড়–য়া।
সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বেগম তাওহীদা আকতার এর পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম মঈন উদ্দিন, লিগ্যাল এইডের বর্ষসেরা প্যানেল আইনজীবী খাইরুল আলম, কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার বজলুর রহমান আখন্দ, ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল প্রমুখ।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের কর্মকর্তা খোকন মাহমুদের সার্বিক সহায়তায় সেমিনারে সভাপতির সমাপনী বক্তৃতায় জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, মানব সেবাই ধর্মের অন্যতম শিক্ষা। যে কোন ব্যক্তি তার আর্থিক সামর্থ্য যাই হোক না কেন, সরকারী আইনগত সহায়তা পাওয়া, তথ্য সেবা গ্রহণ ও বিকল্প পদ্দতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির সেবা গ্রহণ করতে পারে। বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারীভাবে লিগ্যাল এইড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তৃণমূলে সরকারী এই সেবার কথা প্রচার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইনজীবী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজসহ সর্বস্থরের সহযোগিতা চান তিনি।
পাঠকের মতামত: